শিরোনাম
Passenger Voice | ১২:০০ পিএম, ২০২৪-০৩-২০
যাত্রীদের স্টেশনে থাকার সুবিধা দিতে বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারও চালু হয়েছে রেলওয়ে আবাসিক হোটেল। গত ৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে এটি সচল রয়েছে। এখানে এসি এবং নন-এসি দুই ধরনের কক্ষের ব্যবস্থাই রয়েছে। যাত্রীরা এসব কক্ষ ভাড়া নিয়ে স্টেশনেই রাত্রীযাপন বা দিনে থাকতে পারছেন।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের তৃতীয় তলায় এ আবাসিক হোটেল ঘুরে দেখা যায়, এখানে মোট ১৫টি কক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে ৭টি কক্ষ এসি বাকি ৮টি কক্ষে নন-এসি সার্ভিস রয়েছে। ১ দিনের জন্য ২ বেডের এসি কক্ষের ভাড়া দুই হাজার এবং সিঙ্গেল বেডের ভাড়া ১৫০০ টাকা। আর নন-এসি ২ বেডের কক্ষের ভাড়া এক হাজার টাকা।
বর্তমানে আবাসিক হোটেলটি পরিচালনা করছে রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম সেল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত রেলের যাত্রীদের সেবা দিতেই এটি চালু করা হয়। কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আগের চাইতে আরও ভালো সেবা দিয়ে এখন এটি পরিচালনা করা হচ্ছে। হোটেলটিতে বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয় খাবার পানি।
আবাসিক এ হোটেলে কথা হয় তারিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, এক বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারি স্টেশনে থাকার ব্যবস্থা আছে। সকালে চট্টগ্রাম যাবো। আমার বাসা নবীনগর এলাকায়। সকালে এসে ট্রেন মিস করতে পারি। তাই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আগেই চলে এসেছি। এখানকার সার্ভিসও খুব ভালো।
হোটেলের তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে থাকা ফয়েজ আহমেদ বলেন, আগে হোটেল ভাড়া প্রতি বছরে একবার পরিশোধ করতে হতো। এখন প্রতি মাসের ভাড়া প্রতি মাসে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে পরিশোধ করতে হয়। সেবার মান আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্য যাত্রীদের সেবা দেওয়া। অনেকেই রাতে স্টেশন থেকে অন্য কোথাও যেতে পারেন না বা যেতে চান না। তারা এখানে এসে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারবেন।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, অনেকেই ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে ট্রেনে গন্তব্যে যান। যানযটের কারণে অনেকে সময় মতো পৌঁছাতে পারেন না। আবার অনেকে রাতে স্টেশনে নেমে রাতযাপনের স্থান খুঁজতে থাকেন। এসব যাত্রীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এ আবাসিক হোটেলটি চালু করা হয়েছিল। তবে এখনো অনেকেই জানেন না যে স্টেশনে থাকার জন্য আবাসিক হোটেল আছে। যাত্রীরা এটি সম্পর্কে জানলে সেবা নিতে পারবে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.